• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ন

×

দিনাজপুরে আগাম রসুন চাষে ব্যস্ত দিনাজপুরের কৃষাণ-কৃষাণীরা

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৩২৭ পড়েছেন

দিনাজপুরের খানসামায় আগাম রসুন চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকহারে রসুন রোপণ করেছেন অনেকে। গত বছর উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও অধিক মুনাফার আশায় কৃষকরা রসুন চাষে ঝুঁকছেন। সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবার উপজেলায় রসুনের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৫০০ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যেই প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে আগাম রসুন লাগানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৭০ হেক্টর জমিতে আগাম রসুন লাগানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার হোসেনপুর, আরজি জাহাঙ্গীরপুর, কায়েমপুর, জোয়ার, জুগীরঘোপা, আগ্রা, গুলিয়ারা, কাচিনীয়া, রামনগর ও গোয়ালডিহি গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, অনেক কৃষক রসুনের বীজ লাগাচ্ছে, আবার অনেকে জমি প্রস্তুত করছে। অনেকে রসুন চাষের জন্যে খড় সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে। এছাড়াও পাড়ায় পাড়ায় জটলা বেঁধে রসুনের বীজ প্রস্তুত করছেন বাড়ির মহিলা ও শিশুরা।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভালো লাভের আশায় অনেকে জমি বর্গা নিয়ে রসুন চাষ করেছেন। গত দুই বছর আগে যেখানে রসুন প্রতি মণের দাম ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। সেখানে গত বছর সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এজন্যই গত বছরে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও কৃষকরা ব্যাপক হারে এবং গত বছরের তুলনায় এ বছরও রসুনের ফলন বেশি হবে বলে আশা করেন তারা।

খামারপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক জোহা চৌধুরী বলেন, গত বছরে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর বেশি করে রসুন আবাদ করতেছি। প্রতি বিঘা জমিতে রসুন লাগাতে জমি তৈরি, বীজ, শ্রমিক, সার ও কীটনাশক, নিড়ানি ও উত্তোলন করতে ৫০-৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর রসুনের ফলন ভাল ও বাজারে দাম থাকলে লাখ টাকারও বেশি বিক্রি হয়।

ভাবকী ইউনিয়নের আগ্রা গ্রামের কৃষক জাকারিয়া বলেন, আমি গত বছর ভাল দাম পাই, এ জন্য এবার বেশি চাষ করবো। আশা করছি আবহাওয়া ভাল থাকলে বেশ লাভবান হব।

কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার বলেন, বর্তমানে উপজেলার কৃষকদের কাছে রসুন প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো। তাই ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে কৃষি বিভাগ থেকে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA